এবার বৃষ্টির নাম গন্ধ নেই।খরার পরিবেশ। চাষীরা সকলেই বেদনার ক্ষতে উদভ্রান্ত।
একটু জলের আশায় চাতক পাখির মতো কৌতুহলে দিন কাটাচ্ছে । রাবেয়া রূপসী যৌবনা অষ্টাদশী। সারা শরীর জুড়েই যৌবনের উল্কাপাত; অনুভূতির অশ্রু জরাজীর্ণ। রাবেয়ার আব্বু ফারুক বিয়ের পাকাপাকি করেছে— মাঠ থেকে ভালো ফসল পেলেই।
কপাল থেকে ফুরোয় ভাত। রাবেয়া যে সময়ের সাঁকো তে দাঁড়িয়ে এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় দৈহিক চাহিদার কোলে মাথা ঠুকে ভালোবেসেছে ঋক্- কে। সেই স্মৃতি আজ বোবা , রাতজাগা পাখির মতো নির্বাসিত রাবেয়া এখন তাই উদ্ভ্রান্ত। দমবন্ধ করা গুমোট ধুকপুকুনি।
মাঠের মধ্যেই দূরে দেখতে পেল ঋক্- তার দিকে কী যেন ইশারা করছে, রাবেয়া ভয়ে জড়সড়। সে জাতে যে মুসলমান। ঋক হোলো সম্ভ্রান্ত হিন্দুদের এ্যডভেঞ্চার। রাবেয়া তার আব্বুর সাথে মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তাই জরাজীর্ণ মনে।
সযত্নে আঁকে ঋকের সাথে মিলনের গোপন আঁতাত। আব্বু ফারুক হঠাৎই “রাবেয়া”বলে চিৎকার করে অন্তর্বাসের কোণে সমকালীন ঘাস জন্মেছে ভেবে ছুড়ে দেয় হাতের কাস্তে টা রাবেয়ার দিকে।
রাবেয়ার কটিদেশে থেকে রক্ত ঝরে। স্বপ্নের উড়ানের আগেই নিহত হয় বাসনার ভ্রূণ।
কবর দেওয়া হয় বৈধতার প্রহসন।