পড়ন্ত বেলা আলো নিভে আসে পাখিরা ধরেছে তাণ
পশ্চিমপথে রাঙা গোধূলিতে আকাশ করছে স্নান।
একা বসে আছি কেদারার পরে জীর্ণ ন্যূব্জ দেহে,
অবসর কাল, সুচতুর কাল ঢুকেছে জীর্ণ গেহে।
তন্দ্রার ঘোরে দুপায়ের পরে কার ও পরশ লাগে !
খুলে দেখি আঁখি পায়ে হাত রাখি দাঁড়িয়ে আমার আগে –
ভিনদেশী বাস মুখে মৃদু হাস বলল যুবক , “স্যার,
কেমন আছেন ? শরীর তো ভালো ? আমি বেণু সরকার। “
আমি বললাম, “বয়স হয়েছে, চোখেও তো দেখি কম,
স্মৃতি দূর্বল, দেহে নেই বল, শিয়রে দাঁড়িয়ে যম।
করো নাকো দুখ মনে নেই মুখ সব খেয়ে নিলো কালে।”
সে বলে, “স্যার, অঙ্কের ক্লাসে সেই যে দুষ্ট ছেলে
মেরে মেরে বেত শেখালেন তাকে গুন গুনীতক গুন্য,
আমি সেই বেণু আজ প্রফেসার আপনার গুনে ধন্য। “
চোখে এলো জল, মনেতে সকল স্মৃতি এল ধীরে ধীরে
বললাম,” বাছা, সুখে থাক তুমি, এই চাই অন্তরে।
বেশি কিছু নয়, এটুকু মান এটুকু ভালোবাসা
আমাদের মতো গুরুদের মনে এইটুকু প্রত্যাশা।
তোমাদের জিতে আমাদের জিত, তোমাদের হারে হার
তোমাদের নিয়ে আমাদের মনে আবেগ প্রত্যাশার।”