তুমি রশি, আমি রথ,
তুমি শখ, আমি সুখী।
তুমি মসী, আমি শিখা,
তুমি কষি, আমি অঙ্ক।
তুমি দীপ্ত, আমি আশ্বস্ত,
তুমি লাঞ্ছিত, আমি কান্না।
তুমি নীরব, আমি অভিমান,
তুমি শঙ্কিত, আমি নড়বড়ে।
তুমি দেহ, আমি প্রেম,
তুমি তাঁত, আমি মাকু।
তুমি শব, আমি শকট,
তুমি মাদ্রী, আমি পাণ্ডু।
তুমি বিদেহী, আমি আত্মা,
তুমি নব কলেবর, আমি জাতিস্মর।
————————-
নীল দিগন্তের কোনে বসে
একলা সূর্য মনে মনে হাসে।
বেশ করে পুড়িয়েছি এই তপ্ত বৈশাখে,
নিজেরই অহংকারে ধ্বংস নিজেই শেষে
অহর্নিশ বিস্ফোরণে পোড়া ছাই অবশেষে।
‘সূর্য পোড়া ছাই’ ভস্ম মেখে নত ধরণী
শীতলতা খোঁজে যেন এখনই।
অকৃপণ বারিধারা নেমে আসে বুকে,
তপ্ত ধরণী শীতল অবশেষে
মেঘের দেশেও উদ্ধত সূর্য ট্যান্টালাস্।
———————–
জীবনে আঘাত মেলে ,
নিন্দুকেরা রব তোলে
গেল গেল বলে।
এটাই সঠিক সময়-
চিনে নেব বলে।
————-
হাল সন হাল খাতা
বর্ষ শুরুর কারকতা
উপচে পড়া উপাচারের থালি
বর্ষ বরণে আপামর বাঙালি।