আমরা অতি সাধারণ,
নই যে আমরা উচ্চ পদে আসীন।
নেই ক্ষমতা বিদেশ ভ্রমণের।
নেই ক্ষমতা অঢেল খরচ করার।
হ্যাঁ আমরা সাধারণ|
অনুষ্ঠানে পার্বণে আমরা পাই না
তাই বিশেষ অতিথির মর্যদা|
“নয় যে ওরা ডাক্তার কিংবা
ইঞ্জীনিয়ার, নয় তো এরা নিদেনপক্ষে
স্কুল শিক্ষক বা শিক্ষিকা,নয় তো জি.এম.
কোনো বড় কোম্পানীর|
তবে এদের কীসের মর্যাদা সমাজে,
ফায়ায়ায়য়ায়া..লতু যত”।
বিশিষ্ট জনেরা এভাবেই দেয় আমাদের বিশেষণ।
এবার শোনো মজার কথা,এই সকল
সুসন্তানদের অনেকের(সবাইকে বলছি না)
হাতেই থাকে না সময়, বাবা মাকে দেবার মত।
অনেকে আবার প্রবাসী বা বিদেশবাসী।
বড়ই কাজের চাপ|
না না ঠিকই আছে, জীবনে প্রতিষ্ঠা
সে তো সবাই চায়।
তবুও তো বাবা মায়েরা বলতে পারে
“আমার ছেলে মেয়ে বা জামাই আছে
বিদেশে অনেক বড় পদে|”
তবে কী জান, এই সকল ফালতুদেরই
ডাক পরে,যখন ঐ প্রবীণ প্রবীণারা অসুস্থ হয়|
চোখে দিতে দিনে দু তিনবার আইড্রপ
এদেরই যে দরকার।
প্রতিষ্ঠিত ছেলে মেয়ের নাই যে হাতে সময়|
এমন ও হয় দেখছি, বলছেন তাঁরা ‘মাগো একটু
বসবে!একটু কথা বলি,বড় একা লাগে ‘।
কিন্তু এরা উচ্চ প্রতিষ্ঠিত ছেলে মেয়ের
বাবা মা হিসাবে বড়ই গর্বিত|
আর হ্যাঁ, আমদের বাবা মায়েরা হয় তো
সন্তান উচ্চ প্রতিষ্ঠিত, এই গর্বে নয় গর্বিত,
কিন্তু প্রয়োজনে তারা সন্তানকে কাছে পায়।
আমাদের চাহিদাকে আমরা পারি সীমাবদ্ধ
রাখতে, তাই যা আছে বা সামান্য যা
রোজগার তা নিয়েই ভাল থাকার চেষ্টা করি।
তোমরা বলবে ‘আঙ্গুর ফল টক’।
পাইনি প্রতিষ্ঠা,তাই হয় তো এত কথা।
যা ইচ্ছা তাই ভাবতে পার,
তোমাদের যেমন যায় আসে না
আমাদের কথায়। আমাদের ও
যায় আসে না তোমাদের কথায়।
আমরা মানুষ মানুষ হয়েই বাঁচতে চাই|
জেনে রেখো,
সমাজে কিন্তু সবারই প্রয়োজন আছে
কেউই কিন্তু ফালতু নয়।