উন্মুক্ত দৃষ্টির সব নান্দনিক
উপাদান তার তরেই সমাহিত,
সে এল অবশেষে মেঘ হয়ে
সায়াহ্নের পটভূমিতে সারা আকাশ
জুড়ে স্বভাব সিদ্ধ হাসি নিয়ে।
দুচোখ ভরে দেখলাম
শুষ্ক মাটির আভ্যন্তরীণ উৎসুকতা –
তার ঝরে পড়া, প্রতিটি বিন্দুর
সাথে আপন হবার বিবিধ শব্দ
সবি যেন প্রত্যক্ষ ছবি হয়েছিল,
প্রতিক্ষীত লগ্নে ছেয়েছিল ম্লানতা।
চলে গেল শেষ বেলার করুন সুরে
সূর্য পাটের পথ ধরেই,
ঝর ঝর কিংবা ঝুম ঝুম রঙ্গে
ঝরতে, ভিজিয়ে ও মাতিয়ে দিতে
পারলোনা, না চাইলোনা সেই জানে।
রয়ে গেল তেমনি অসহ তপ্ততায়
অদৃশ্য সুখ স্বপ্নের সিক্ত দিনপঞ্জি
সেভাবেই আনমনা প্রতিক্ষায়।
সে যেন ভালোথাকে আপন আলয়
কিংবা তার জলীয় অন্তরঙ্গ প্রদেশে
আমি ও এ শুষ্কপ্রায় মৃত্তিকা
রয়ে গেলাম তার এড়িয়ে যাবার ছলে
অনিন্দ্য তার বৃষ্টি নামের আবেশে।