
একলা মেয়েটা জীবনযুদ্ধে প্রতি মুহূর্তে মাথানত করে বহন করেছে পরিবার-পরিজন…
মানিয়েছে কখনও , কখনও পারেনি, গোপনে মুছেছে শাড়ির আঁচলে সুন্দর দুটো চোখ।
এই দুটো চোখে জমে ছিলো প্রগাঢ় স্বপ্ন, আশা ছিলো ভালোবাসা পাওয়ার…
জীবনটা বুনেছিলো স্বপ্নের বেড়াজালে, ঘটিয়েছিলো অলীক সুখের সমাহার।
সেই সুখ “ঝরে ঝরে” পড়েছে অনেকবার, থালা-বাটি-গেলাসের সুরে…
তারপর বয়ে গেছে বহু সাংসারিক সাতকাহন সকালের কলের জলে।
আসলে জাদু-বাস্তবতায় ঢেকে যাওয়া দুটো চোখ সয়ে নিতে জানে বহু কিছু…
স্বরযন্ত্রের ভাবাবেগ ভাবের আকারে আর বেরোয় না শব্দের পিছু পিছু ।
স্বামী তার দায়ী নয় যদি তার মৃত্যু হয় একটু একটু করে প্রত্যেকটা জৈবিক দিনে…
আরে, সুখে আছে ভালো আছে নিয়মিত খেতে পাচ্ছে এর বেশি আর কী শখ মনে ?
কোনও শখ থাকতে নেই, কোনও কথা থাকতে নেই, তার থাকতে নেই কোনও আহ্লাদ…
নিত্য দিন স্নায়ুতন্ত্রে শব্দ-দানব বাসা করে, আবেগগুলোকে ফাঁসি দেয় এক জহ্লাদ।
“লক্ষ্মী চাই”, “লক্ষ্মী চাই”– এই রব তুলে বহু “বাবুমশাই” নীরবে কেড়েছে বহু জননীর প্রাণ…
দৈনিক শব্দবন্ধে স্থূল সামাজিক প্রতিবন্ধে এভাবেই পিষ্ট হচ্ছে অগণিত কন্যার নির্যাস ।