সেই সব মুখগুলি স্মৃতির ক্যানভাসে
আজ অ বেলায় কেন ভেসে আসে
সকলের সাথে সুসম্পর্ক ছিল, ছিল প্রীতি বাঁধন
এমন তো নয় – – তবুও কেমন
সেই স-ব মুখ
.
আজন্ম অনটন নিয়ে চেয়েছিল সুখ।
স্বল্প সন্তুষ্ট থাকা সেই সব জীবন
জানত না মোবাইলে বাজে রিং টোন
যোজন-যোজন পথ হাঁটাত শহর যেতে
ক্লান্তি ছিল না, চটির ফিতে,
.
বিজলী বাতি কিংবা ইলেকট্রিক ফ্যান
‘আমাদের জন্যে নয়’-এই ছিল ধ্যান।
.
ফাঁকি দিলে ফাঁকে পরে–এই ছিল সার
স্বল্পমজুরী নিয়েও সরাত পাহাড়।
.
সত্য ও ন্যায় এর বুলি
শেখায়নি বিদ্যালয়গুলি
.
তবুও স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাঘাট তৈরী হত,
অবলীলায় সাফ বেওয়ারিশ কুকুরের লাশ
.
ছোট বড় কত রাস্তা বানিয়ে ছিল চাকলায়
অনিয়মিত মোড়াম পড়ে সরকারী টাকায়।
.
একশো দিনের কাজে চূড়ান্ত ফাঁকি দেওয়া যায়
এসব জানতো না তারা পাহাড় টলানো নেশায়
.
নদী বাঁধ ক্যানেল খোঁড়া, সাবাড় পগাড়
নদীস্রোতে ভাঙা সেতু বানাত আবার
.
ভোজ কাজে এসে নিজে নিত যে খবর
স্নেহ শীল পড়শীর মমতায় খুঁড়ত কবর।
.
বাঁশের সেই সেতু কবে হয়েছে ইতিহাস
কংক্রিটের সেতু আজ হয়েছেপ্রকাশ
.
সভ্যতার অগ্রদূত নিষ্প্রাণ সেতু
করতে পারে নি প্রমাণ – – সেই মুখগুলি ভীতু।
.
সেই সব মুখগুলি তাই বারবার
ফিরে ফিরে ঘিরে ধরে স্মৃতিকে আমার।।
.
.
.