বাংলা চলচ্চিত্র অর্থাৎ স্বর্ণযুগের প্রথিতযশা নায়িকাদের মধ্যে সুচিত্রা সেন ছিলেন অন্যতম এবং স্বর্নালী এক চরিত্র।নান্দনিকতা,রোম্যান্স,হাসি-মাধুর্য,বেদনার ছবি অভিনয়কে তিনি জীবন্ত করেছেন।৬০দশকের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের নায়িকা সুচিত্রা সেন।তবে বর্তমান প্রজন্মের তরুণের মনের মনিকোঠায় তিনি জায়গা করেছেন তাঁর কর্মে।সুচিত্রা সেন বাঙ্গালী নস্টালজিয়ার আরেক নাম।শুধু বাংলা চলচ্চিত্রই নয়,হিন্দী সিনেমাকেও প্রসিদ্ধ করেছেন তাঁর অভিনয়শৈলীর মাধ্যমে।
তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।”সাত পাকে বাঁধা কিংবা হারানো সুর” যেন রামার জন্যই চরিত্রগুলো এতো সাবলীল আর সুন্দর হয়েছে তাইতো তিনি মহানায়িকার আসনে সবার হৃদয়ে চির অমর জায়গায় রয়েছেন।মাত্র ২৫ বছরের অভিনয় জীবনে, মাত্র ৬১টি সিনেমায় অভিনয়ে তিনি অর্জন করেছেন অফুরন্ত ভালোবাসা আর সন্মাননা।
প্রখ্যাত গীতিকার,সুরকার ও গায়ক রজনীকান্ত সেনের নাতনী আমাদের বাংলাদেশের মেয়ে রমা(সুচিত্রা সেন)।১৯৭৮ সালে তিনি অবসর নেয় চলচ্চিত্র থেকে।ম্লান হয়ে যায়নি সুচিত্রা,লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেও তিনি অম্লান সবার মননে হৃদয়ের খুব কাছে।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম,যুগে যুগে তিনি শুধু এক প্রজন্ম নয়,কয়েক প্রজন্মের স্বপ্নের নায়িকা।লাবণ্যময়ী,সদা হাস্যময়ী,বাঙ্গালী ঘরানার সৃষ্টিশীল কর্ম সেই শক্তিতেই তিনি সবার প্রিয় সুচিত্রা।