
সভ্যতার প্রথম ঊষায় জেগেছিল পৃথিবীর অরণ্য কন্দর তোমার পরশে
ম্লান রবি অস্তমিত হয়ে সাতরঙে হয়েছিল রাঙা।
হে আনন্দ তুমি এসেছিলে হরিণীর ভীরু চোখে তমসার পাশে।
তোমার আশ্বাসে চাঁদসদাগর খুলেছিল ডিঙা ; –
দ্বারকার স্বচ্ছজলে জয় দত্ত সওদাগর মৃতপুত্র কোলে
ভেসেছিল তোমার আহ্বানে।
সেই ডাকে পিকাসোর বিমূর্ত চিত্রন সব রং মেখে অবহেলে
সুর তোলে ঈমন কল্যাণে।
ভোরের প্রথম আলো শিশুর মতন খেলা করে জলের উপরে ,-
সাত সুর সাত রং মিলেমিশে হয় একাকার ;
যেন সৃষ্টির আদিম সময়ে নক্ষত্রের বিস্ফোরণ পরে
অর্বূদ অর্বূদ ধূলিকণা নেয় নব সৃষ্টির আকার।
রঙে রঙে ভরে ওঠে স্রষ্টার ইজেল
তৈরি হয় নতুন নতুন মোনালিসা,
বৃন্দাবনের ফাগ বসন্ত বাতাসে উদ্বেল
হোলি আজ, রঙ দিয়ে রঙ্গিন প্রত্যাশা।
.
.
.