তোমার আত্মায় ঢুকে যাবো হেললক হাতে
আতাউল হাকিম আরিফ
মগজের সমস্ত বিভ্রান্তি দূরে সরিয়ে
পেপারনোটে সযত্নে লিখে ফেললাম তোমার নাম!
তখনো উন্মত্ত কীর্তিনাশায় জ্বলজ্বল করে
জ্বলছিলো তোমার দুটি চোখ!
সূর্যের লোলুপ দৃষ্টি এরিয়ে ঝড়ের বেগে
আমিও ছুটে গেলাম,
কুমারীর পবিত্র সত্তাকে রক্ষা করবো বলে!
পুনশ্চঃ গিয়ে বসলাম শতাব্দী পুরনো
বটবৃক্ষের ছায়ায়
বৃক্ষদেবী-কী সব বার্তা দিলো তা বুঝে ওঠার
আগেই মাথার উপর ঢলে পড়লো উত্তপ্ত সূর্য!
জটিল ঘূর্ণিপাকে-
মস্তিষ্কে পুনরায় ব্যবচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলো!
এভাবেই কী তোমার অশরীরি আত্মার
বিচ্ছুরিত দেহ বল্লবী আমাকে গিলে খাবে?
আমিও যে হতে পারি ছদ্মবেশী পুরুষ!
কোনো একদিন তোমার আত্মায় ঢুকে যাবো
হেমলক হাতে!
চন্দনচর্চিত তোমার দেহখানি মিশে যাবে-
আমার সম্মুখে উড়ে যাওয়া বাতাসের দীর্ঘশ্বাসে।
তোমার বুকে শুষে নেবো
আতাউল হাকিম আরিফ
জ্যোতির্বলয়ের মতো তোমার অফুরন্ত রূপ ছড়িয়ে পড়ছে
পাড়ার চৌরাস্তা থেকে ব্যস্ততম শহরের আনাচ কানাচ,
নীল এবং অদ্ভুত চক্ষুদয়ের গভীর দৃষ্টি এক শতাব্দী পেরিয়ে
অন্য শতাব্দীর দোরগোড়ায় জ্বলে ওঠে।
তোমার লাস্যময়ী মায়াবী রূপ, বাদামী শরীরে জেগে উঠা শস্যকণা
এবং জলজ জোৎস্নার প্লাবন যখন
আমার বুকে তখন ভীষণ কম্পন, পিপাসার্ত ঠোঁট!
রৌদ্রদগ্ধ পথ পেরিয়ে স্বপ্নজীবি পুরুষের মতো
একাকী তোমার বুকে শুষে নেবো এই পৃথিবীর সমস্ত আলো-অন্ধকার।
প্রিয়তমার নীল কামিজ
-আতাউল হাকিম আরিফ
প্রেমময় কাব্যের স্পন্দনে, মৃদু রোদ্দুরে-
সারিবদ্ধ বিহঙ্গের মতো আকাশে ভেসে বেড়ায় প্রিয়তমার নীল কামিজ-
অমনীল চুম্বন, উরুতে কামুক দাগ!
সমগ্র আকাশে ভর করে সৌরমণ্ডলের স্তব্ধতা।
প্রেমিক হৃদয়ের অবিরত প্রার্থনায় কিংবা
বাতাসের কম্পিত শব্দে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে
প্রিয়তমার নীল কামিজ-নীল অনুসঙ্গ
পুনরায় অল্পজল নদীতে সাঁতার কাটে-
যৌবনচাষীর উদ্ধত শরীর।