
বিচার-বুদ্ধি,করো শুদ্ধি
বরুণ মণ্ডল
কে ভালো আর কে খারাপ
খুঁজছো কেন আতস কাঁচে?
অন্যেরা খারাপ হলেই কেন
নিষ্পাপ তোমার মন নাচে!
লড়ছে সবাই যে যার মত
যত মত আর তত পথে;
তুমিও তো একই পথিক
চলছো কর্মফলের রথে।
উনি মন্দ, তিনিও খারাপ
তোমার ‘খারাপটা’ ভালো?
এসব তোমার পাগলামো
কালো চিরকালই কালো।
অন্যেরা সবাই দোষী বলে
তোমার দোষটা দোষ নয়।
আধুনিক যুগের এই শিক্ষা
এতেই তো শুরু অবক্ষয়।
লোকের ভালো দেখো আগে
খোঁজো নিজের মন্দটা;
পৃথিবীটা বদলাইনি মোটেই
বদলেছে মনের গন্ধটা।
কাদের বাবা বৃদ্ধাশ্রমে
কে বা রাতে উলঙ্গ হল!
এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে
তোমার নিজের লাভটা বল।
নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত রাখো
কিন্তু পরনিন্দার বেলায় কই;
নিজের নিন্দা করতে শেখো
তবে ‘সাপলুডু’তে পাবে মই।
হাজার টাকার ঝাড়বাতিটা
তেমনি রবে ঝোলানো ওই।
নিজের চরকায় তেল দাও
দু চোখ বুজলে সবই সই!
বেদ-বাক্য মেনে নাও
“তৃণাদপি সুনীচেন…”
নিজের মাথা নিজের জন্য
অন্যের জন্যেই ঘামাবেন?
তবু যদিও বলছি আজো
‘সকলের তরে আমরা’
অন্যের দোষ পেলেই বলবো,
‘কুকুরের পায়েই কামড়া!’
বরুণ মণ্ডল
তিলডাঙ্গা
রানাঘাট
নদীয়া
ভারত
