ছদ্দবেশী মাফিয়া কিং
লেখকঃ মোঃ নয়ন আলী(নাঈম)
পর্ব – ১
সন্ধা ৭ টায় বাজার থেকে বাসায় ফিরছি , কিছুক্ষণ হাটলেই আমার বাসা তাই ফোনে গান শুনছি আর হাটছি,, হঠাৎ একটা মেয়েলি কন্ঠে চিৎকারের আওয়াজ এসে আমার কানে পরলো,, প্রথমবার কোনো কেয়ার করলাম না, পরের বার যখন চিৎকার টা আমার কানে পরলো, তখন আমি আমার মনটাকে আর সান্তনা দিতে পারছি না, কেনো জানি মনে হচ্ছে কেউ হয়তো বিপদে পরেছে,, তাই চিৎকারটা অনুসরন করে দৌড়াতে লাগলাম,, দৌড়াতে দৌড়াতে একটা জঙ্গলে এসে পরলাম,, শুনেছি ওই জঙ্গলে নাকি ভুত পেত রা থাকে,, কিন্তু আমি ওগুলো বিশ্বাস করিনা,, যাইহোক এখন চিৎকারটা স্পষ্ট সোনা যাচ্ছে,,
তাই আশে পাশে খুজতে লাগলাম চিৎকারটা কোথায় থেকে আসতেছে,, হঠাৎ জঙ্গলের ভিতরে একটা পুরনো বাড়ি দেখতে পেলাম,চিৎকার টা ওখান থেকে আসছে,, আমি তারতারি করে পুরনো বাড়িটার সামনে গেলাম, তারপর ধিরে ধিরে পুরনো বাড়িটার ভিতরে যাচ্ছি,, ভিতরে গিয়ে দেখলাম কয়েকটা ছেলে মিলে একটা মেয়েকে বেধে রেখেছে আর মেয়েটার সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলছে সাথে মেয়েটাকে মাঝেমাঝে জোরে জোরে থাপ্পর মারছে,,, তা দেখে আমি ছেলেগুলোর সামনে গিয়ে বললাম,,,,,
…ভাই আপনারা মেয়েটার সাথে বাজে বিহেভ করছেন কেনো। (আমি)
… আমরা কার সাথে কি বিহেভ করবো, না করবো তাতে তোর কি (ছেলোগুলো)
… আপনারা যা ইচ্ছা তা করতে পারেন না।(আমি)
এই কথা বলার সাথে সাথে একটা ছেলে এসে আমার শার্টের কলার ধরলো,, আমি ছেলেটাকে বললাম,,,
…যদি ভালো চাস তবে, কলার টা ছার। (আমি)
…ছাড়বোনা, দেখি তুই কি করতে পারিস।(ছেলেটা)
এবার আমার প্রচন্ড রাগ হলো, রাগে চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে, আমি আমার ডান হাত খুব শক্ত করে মুষ্ঠি বেধে ছেলেটার পেটে দিলাম একটা ভুসি/বারি,সাথে সাথে ছেলেটার মুখ দিয়ে রক্ত পরতে থাকে, তখনি বাকি ছেলেরা আমাকে মারতে আসলে,, আমি হিন্দি ফ্লিমের নায়কের মতো ফাইড করে ওদের সবাইকে মাটিতে শুয়ে দিলাম আর ওরা হামাগুরি খেতে খেতে পালিয়ে যায়,, তখনি নজর পরলো,, বেধে রাখা মেয়েটির উপর, দেখলাম মেয়েটা অনেক ভয় পেয়ে আছে, আমি মেয়েটার কাছে ওর বাধন খুলে দিয়ে ওকে জিঙ্গাসা করলাম,,,
…কে আপনি,, আর এখানেই বা এলেন কি করে।(আমি)
…আমার নাম তাসনিয়া চৌধুরি,, এখানকার মন্ত্রী রফিক আজাদের মেয়ে, কলেজের পিছনেই আমার বাসা,, কয়েকদিন আগে পুলিশ ওদের অর্থ্যাৎ ছেলেগুলোর ১ কোটি টাকার অবৈধ মাল থানায় আটক করে রেখেছে,, ওরা মালগুলো ফেরত নিতে গিয়েছিলো কিন্তু পুলিশ ফেরত দেয়নি,, তাই ওরা আব্বুর কাছে আসছিলো মালগুলো ফেরত নিতে,কারন মন্ত্রী ইচ্ছা করলেই মালগুলো ওদের ফেরত দিতে পারে,, কিন্তু আব্বু না করে দেয়,, কারন আব্বু অবৈধ্য কাজ করা পছন্দ করেনা। তাই ওরা আমাকে কিন্যাপ করে এখানে নিয়ে এসেছে,, যাতে ওরা আব্বুকে ব্লাকমেইল করে মালগুলো ফেরত নিতে পারে।
…ওহ এই ব্যাপার,চলুন আপনাকে আপনার বাসায় পৌছে দিয়ে আসি (আমি)
…না লাগবেনা এখন আমি একাই যেতে পারবো(তাসনিয়া)
…বিপদের কোনো ঠিক নেই, চলুন আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি।(আমি)
তারপর বন্যাকে তার বাসায় পৌছে দিয়ে,আমি আমার বাসার দিকে যাচ্ছি,,
( চলুন বাসায় যেতে যেতে আমি আমার পরিচয়টুকু দিয়ে নেই)
আমি নাঈম আহম্মেদ& নয়ন &,
এবার অনার্স ২ বর্শ পড়ি,
আব্বু আম্মু ও একটা ছোট বোনকে নিয়ে আমাদের সংস্যার, আব্বু একটা কম্পানিতে ছোটখাটো জব করে,তা দিয়ে আমাদের সংস্যার কোনো মতে চলে, আপাতত এইটুকু পরিচয় থাক গল্পটি পরলে আমার ব্যাপারে আরো অনেক কিছু যানতে পারবেন।
পরিচয় দিতে দিতে আমি আমার বাসার সামনে এসে গেছি, কলিং বেল বাজাতেই, আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো, আমি ভিতরে গিয়ে দেখছি নিলা বসে টিভি দেখছে,(নিলা আমার ছোট বোন) আমি লুকিয়ে গিয়ে পিছন থেকে ওর চোখ দুটো বন্ধ করে ধরলাম,, তখনি ও বলে উঠলো,,
…আমি জানি এটা ভাইয়া।(নিলা)
চোখ দুটো ছেরে দিয়ে,,,,
… কিভাবে জানলি তুই।(আমি)
…আমি আমার ভাইয়ার হাতের ছোয়া বুঝতে পারি,তাই।(নিলা)
…ওহ তাই বুঝি।(আমি)
….হুম।
তখনি আব্বু বাসায় এলো,,, আব্বু ফ্রেস হয়ে এসে খাবার টেবিলে বসলো,সাথে আমিও বসলাম,, হঠাৎ আব্বু বলে উঠলো,,,
…নাঈম তোমার পড়াশুনা কেমন চলছে।(আব্বু)
…জ্বী,আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
তারপর আম্মু এসে খাবার বেরে দিলো, আমি খাবার খেয়ে আমার রুমে এসে ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফেইসবুক ঘাটাঘাটি করে ঘুমিয়ে পরলাম,,,
সকাল ৬ টায় ঘুম ভাঙ্গলো, ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে, বাইরে থেকে একটু ঘুরে এসে গোসল করলাম, তারপর খাওয়া দাওয়া করে বাইকটা নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্য পাড়ি দিলাম, প্রায় ১০ মিনিটের মধ্য কলেজে পৌছালাম,বাইকটা পার্কিং করে ক্লাসের দিকে যাচ্ছি, হঠাৎ কিসের সাথে যেন ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পরে গেলাম মাটি থেকে উঠতেই,,,,,,, চলবে
( লেখকের অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ )
বিদ্রঃ পর্বটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।

অনেকটা রুপকথা ,বাংলা সিনেমার মারদাংগা গল্প—এটা চলবে না—তাছাড়া লেখায় অনেক ত্রটি আছে, ধারবাহিক করতে চান করুন, তবে আরও বাস্তবচিত করে লিখুন ——ধন্যবাদ