ছোট্ট সোনামনি
মোঃ সুমন মিয়া
মা বাবার চোখের তারা ছোট্ট সোনামণি,
ঘরটা রাখে আলোকিত আনন্দের খনি।
বাবা মায়ের স্বপ্ন অনেক ছোট্ট খোকা ঘিরে,
হাত ভর্তি খেলনা নিয়ে বাবা বাড়ি ফিরে।
একটু চোখের আড়াল হলে বিচলিত মা,
বাবা মায়ের কাছে এক জীবন্ত খেলনা।
টুপটাপ পায়ে হাটে, কথা ঠোটের ফাঁকে,
এটা ধরে ওটা ফেলে ঘরটা মাতিয়ে রাখে।
গ্লাসে খায় মামবা, প্লেটে ভাত্তা আল্লু ভাজি,
ফলের মধ্যে মান্টা, ককা, কাঠ্ঠা আমে রাজি।
লাঠিমকে বলে ধাত্তিম আর লিতু পেচায় হাতে,
কোপ্পা মারে ঘরের মেঝে, পিপি চালায় তাতে।
কামড় বসায় যথা তথা সদ্য উঠা দাঁতে,
সবার আগে কাজটা চায় করতে নিজ হাতে।
মিষ্টি হাসির দুষ্টমিতে মাতিয়ে তোলে বাড়ি,
আটকে রাখা যায় না ঘরে; বড্ড আনাড়ি।
গোমতির সেই যৌবন
মোঃ সুমন মিয়া
গোমতির ছিল ভরা যৌবন
যতদূর পড়ে মনে,
মাঝি মল্লার অবলম্বন বর্ষায়
জীবিকা অর্জনে।
সপ্তাহান্তে বসতো তীরে
ব্যবসায়ীদের হাট,
নৌকা ট্রলার যাত্রীতে
রমরমা ছিল ঘাট,
গামছা পড়া খালি গায়
নদীর জলে ভেজা,
জেলের নায়ে লাফিয়ে উঠতো
হরেক মাছ তাজা।
মাইক ঢোল বাজত নিত্য
বিয়ের যাত্রী সাজে,
দু’পাড়েতে উৎসুক চোখ
বধু তাকায় লাজে।
মাঝির কন্ঠে ছিল সুর
ভাবনা ছিল কম,
সেই সুর আজ করুণ হলো
নাভিশ্বাসে দম।
আজ ঢেউ নেই শুধু কচুরীপনা
¯’াপনার দখলে
মুমুর্ষ অব¯’ায় ধুকছে পড়ে
দুষ্টের কবলে।