বোকার বিপদ
মোবারক হোসেন
হেলাল সরদারের ঘরে চোর ডুকেছে।চোর ঘাপটি মেরে খাটের নিচে বসে আছে। সুবিধা মত ঘরের সব সাবাড় করে দিবে বলে। সুবিধা করে উঠতে পারছে না হেলাল সরদারের নড়াচড়ার কারনে। সরদার বয়স্ক লোক। বয়স্ক লোকের ঘুম কম হয়। তার উপর আবার সরদার বিদ্যুত খরচের ভয়ে সন্ধার পর পরই ঘুমিয়ে পড়েন। বারটা একটার মধ্যে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারপর কিছুক্ষন আল্লা বিল্লা করেন আবার এক সময় ঘুমিয়ে যান। আজও তার এমনি সময়ে ঘুম ভেঙ্গেছে। কিন্তু সে জানেনা তার খাটের নিচে চোর ডুকে বসে আছে। সে নিত্য দিনের মত আল্লা বিল্লা শুরু করলো। এক সময় সে বলে উঠলো, আল্লাহু করিম। ঘরের বাইরে আরেক জন চোর দাড়িয়ে ছিল, কোন বিপদ দেখা দিলে বাইরেয়য় থেকে ভিতরের জনকে শর্তক করার জন্য।
বাইরে দাড়িয়ে থাকা চোরটি চমকে উঠলো। কারন তার নাম করিম। সে ভাবলো সরদার তার কথা জেনে ফেলেছে। তাই সে একটু আড়ালে গিয়ে ঘাপটি মেরে রইলো। কিন্তু হেলাল সরদার আবারও আল্লাহু করিম বলে উঠলেন। এবার বাইরের চোরটা আরও ভয় পেয়ে মাটিতে শুয়ে চুপ করে রইলেন। কিন্তু না সরদার আবারও উচ্চ স্বরে আল্লাহু করিম বলে উঠলেন। এবার বাইরে থাকা চোর ভাবলেন বার বার যখন তার নাম নিচ্ছে তাহলে নিশ্চয় তাকে চিনে ফেলেছে।
তাই নিজের দোষ ঢাকবার জন্য সে বাইরে থেকে বলে উঠলেন, ঘরে ডুকে যে চুরি করছে তার দোষ নেই। আমি যে ঘরের বাইরে দাড়িয়ে আছি সব দোষ আমার! এজন্য কথায় আছে, গায়ের জোর কম হলেও চলে কিন্তু বুদ্ধির জোর কম হলে চলেনা। গল্পটা এই জন্য যে, বোকা আর সহজ সরল লোকেরা কম দোষ করলেও তাদের গাড়েই বেশি দোষ চাপে।
গল্পটি কারও ভাল লাগলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।