সংযোগ
মোবারক হোসেন
কি, দিলে না তো দাম?
জানি না তো নাম!
নাম দিয়ে কি হয়!
জান না কি সূচী দিয়ে
বইয়ের পরিচয়।
হয় তো হবে
গুনের কথাই বলে সবে।
আকাশ দেখো?
মেঘলা হলে –
সবই তোমার গেছে জলে ;
কেন কেন?
কচি খোকা দুধ খায় যেন!
খুলে বল-
নদীর কাছে তবে চল।
নদী কেন?
আস্ত একটা গাধা যেন !
তা কিন্তু নয়;
তবে কি পাহাড় নিলয়!
চোখে তাকাও দেখতে পাবে!
এ তো দেখছি মাথা খাবে!
চাও কি তুমি?
আকাশ ছুতে-
বুচ্ছি তোমায় ধরছে ভুতে।
ভুত নয় সেটা পেত্নী হবে!
মনের কথা বুঝবে কবে-
মূল্য আমার বুঝলাম সবে;
আসি তবে হয়তো আবার দেখা হবে।
আমার সাতবার
মোবারক হোসেন
শনিবারে শনীয় কাটে,
তাহার সাথে আঁড়ি
আমায় দেওয়া ভালবাসা ফিরে পেতে
মারে শুধু ঝারি।
রবি বারে আঁলো !
মেঘের আঁচল উগ্র পরী
জীবনটাই আজ কালো।
সমবারে সমহারে সবই লাগে ভালো।
মঙ্গলবারে অমঙ্গলে,
করে কানা কানি
রাশিফলে শুভ হলে
দিনটা ভাল মানি।
বুধবারে কবিতা লিখি
হয়না কবির মতো
সবই আমার নীল হয়ে যায়
মিশাই রং যত।
যেমন ইচ্ছা লিখি আমি
আমার মনের মতো,
তোমরা যদি কবিতা বল
হতে পারে হয়তো!
বৃহস্পতি কচ্ছপ গতি
আসে শুক্রবার ,
র্প্রাথনাতে সকল পাপের,
শোধ করতে চাই ধার ।
আড়ালের আগন্তক
মোবারক হোসেন
প্রদীপের মত জ্বলতে জ্বলতে এক সময় আমি নিভে যাই
আর ঠিক তখনই কেউ এসে আমাকে আবার জ্বেলে দেয়।
দেহ আর মন মানুষের মধ্যে থাকলেও এদের চাওয়া পাওয়া এক নয়।
নারী পুরুষ একে অপরের জীবন সঙ্গী হয় কিন্তু দেহ ও মন এক সাথে পায়না।
কেউ দেহ পায় মন পায়না আবার কেউ মন পায় দেহ পায়না।
তবে এটাই বাস্তব, দেনা পাওনার হিসাবেই জীবন।
এখানে এসব প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হল কে আমাকে জাগিয়ে তুলে।
পিছনের দরজায় কে দাড়িয়ে আমাকে সামনে এগিয়ে দেয়
তার চাওযা নেই পাওয়া নেই আমাকে নেড়ে চেড়েই যেন তার সুখ।
তার মনটা আমার বলেই তার দেহে থাকে না, থাকে আমার ছায়া হয়ে।
যদি জানতে পারি মেঘের আড়ালে চাদটি কে
সেদিন আমার কবিতায় বৃষ্টি হবে মনের খাতায় সে হবে গানের স্বরলিপি।
অচল পয়সা
মোবারক হোসেন
বহুবার নিরালায় ভেবেছি
জীবনে কি দামী।
শরীর নাকি মন
কোনটা আসলে আমি।
জম্ম আর মৃত্যু
জীবন নামের খাতায়
ভেবে পাইনা কুল
কোনটা ফুল কোনটা ফুলদানি।
চাওয়া আর পাওয়ায়
সুখ দুঃখের ছায়ায়
হারায় কে বেশি
প্রেম না প্রেমী।
শুরু আর শেষে
কে যেন এসে
কানে কানে বলে
অচল পয়সা তুমি।
সুখ
মোবারক হোসেন
আকাশ পাতাল পাহাড় পর্বত
মন্ডা মিঠাই গুড়ের শরবত,
অর্থ খ্যাতি যশ
সবাই মানিয়াছে বশ।
কোথাও নেই সুখ
চেনা চোরা বালি
দেখেনি কেহ তার মুখ!
অর্জন
মোবারক হোসেন
ভুল থেকে শিখেছি,জীবন চলার পথে
কেউ না কেউ সাথী হয় কিন্ত কেউ
আপণ হয় না।
কষ্ট থেকে শিখেছি ,মানুষ গুনী হয়
কিন্ত নিস্পাপ হয়না।
মানুষ কখনো কখনো পাথর হয়ে যায় |
কিন্তু জীবণ থেমে থাকেনা।
অভিমান থেকে বুঝেছি,আবেগের মধুর প্রতারনা
দৃষ্টিতে দুরত্ব,মনে ধূলোমাখা স্মৃতির পদচারনা।
প্রিয়জন আপন থেকে পর!
প্রেমে জেনেছি,মনের সাথে মনের মিলনই শেষ নয়
দেহ ও মন দুটোর সমন্বয়।
আর বাস্তবতায় শেখা,সময়ে সচেনতা
বদলে যাওয়া,জেগে থেকেও ঘুমের ভান ধরা
মরা নয় কান নড়া খাওয়া।
ছেলে বেলা
মোবারক হোসেন
হারিয়ে গেছে ছেলে বেলা
মনে নিয়েছে ঠাই
বাউলের গানে জৈষ্টের আম বাগানে
নিজেকে খুজে পাই।
নদীর ঘাটে ফসলের মাঠে
উদাস দুপুর বেলায়
বাশির সুরে মুগদ্ধ আমি
হাজারো পাখির মেলায়।
আম কাঠালের জৈষ্ট মাসে
লাঠি নিয়ে খেলা
শিশির ভেজা সরষে ক্ষেতে
কাটতো সকাল বেলা।
ফিরে আমি পাবোনা আর
যতই আমি চাই
ওগো প্রিয় জম্মভুমি
তোমার তুলনা নাই।
গণনার মানুষ
মোবারক হোসেন
রহিম শেখের গরম চা
প্রতি দিন চাই
হাসলে পরে দেখতে পাবে
দাত কখানা নাই।
খায় না পান খায়না বিড়ি
তবুও শরীর রোগের খাড়ি
চা না পেলেই চেচামেচি
গরীব তবু সব্যসাচী।
মানুষ ভাল মনটা খাটি
শুধু নেই অর্থ খ্যাতি।
ওসবতো তারাই খুজে
চায়ের বদলে রক্তচোষে।
বাউন্ডেলে
মোবারক হোসেন
যে প্রেম নিরবে আসে
তার ঠায় মিলেনা মনে।
মন দুরত্বকে কাছে টানে
আর কাছের জনকে পায়ে ঠেলে।
তাই নিরব প্রেম নিরবেই হয়ে যায়
নিজেরই গুপ্ত ঘাতক।
আমি বাউন্ডেলে প্রেম বুঝিনা
প্রেম কখন এল কখন গেল
মনে কতটা ক্ষত হল
অথবা কতটা বসন্ত নিয়ে এল!
সাজতে বা সাজাতে
কোনটাই আমার ভাল লাগেনা।
ভেঙ্গে চুরে উল্টে পাল্টে
কাউকে নতুন করে গড়তেও
আমার আছে পিছুটান-
বলতে পারো কিছুটা স্বার্পর।
মনের কথা চোখে নয়
মুখেই বলতে চাই।
দুরত্বের মাঝখানে শূন্যতা নয়
পূর্নতা হোক সুখের অথবা কলংকের।
নিজেকে পুড়িয়ে ইতিহাস!
না আমি বাউন্ডেলে
বাধিনা বাসা প্রেমের মায়া জালে।