Mustary Begum

কবিতা
পোড়া রসুনের কফিন।
মুস্তারী বেগম

শীত এসেছে আলো আলোয়ান গায়ে তোমাদের পাড়ায়
কিছু পিঠেপুলি কিছু মুখের আয়োজন নিয়ে ঈদ এসেছে
খেজুরের রসে অনেক অমৃত প্রায় পিঁপড়ে মরে যায় সকলেই
কিছু দাড়িতে ঝোলে কিছু গোঁফে, আলোয়ানেও কিছুটা
এভাবেই পিঁপড়েরা মরে যায় আলোানের গায়ে কেউ খবর রাখে না ।
পিঁপড়েরা কমতে কমতে একদিন আকাশ হয়। আলোয়ান নিয়েই কেউ কেউ যায় কবরে ,সেখানে এর জঙ্গল আছে কিছু বাগান ও আছে ।
কুয়াশার কাফন পড়ে।শিশির দিয়ে স্নান করে পিঁপড়েরা ।
এভাবেই চলে আসছে শীত। আর একটা শিশিরের ডগায় প্রদীপ সূর্য উঠলে আমরা আলোয়ান গায়ে দিই।
আমরাও হুমড়ি খেয়ে পড়ি কিছু গুড়ের উপর। গুড়ের শালে যাই। রস শুকোতে শুকোতে গুড় হয়। যেমন রক্ত শুকোতে শুকোতে মৃত্যু ।
রসের মৃত্যুতে গুড় আসে ।
আবার কখনো শীত আলোয়ান গায়ে দিয়ে এলে ওদের কান্না জমা করা হয় কিছু কেউনিকের কেউ নবাবের মতো সেগুলো চাটে কারো গায়ে থাকে আলো আর আলোয়ান গায়ে দিয়ে শীতকে রাজার মতোই লাগে কখনো কখনো শীত যখন হাসে দাঁতগুলিের থেকে হিমালয়ের থেকেও আরো বেশি উঁচু হয়। কমলালেবুর মতো ইচ্ছেরা গড়াগড়ি দেয় কারো কারো বাগানে মূর্তির গায়ে শীতল বরফ কুচি লেগে শীত এসেছে আলোয়ান গায়ে দিয়ে যেমন প্রতিদিন কিছু গুড়ের পিঁপড়ের মৃত্যু ঘটে ।বেঁচেও থাকে কেও।্
কিংবা পিঁপড়ে হবার বাসনায় স্বপ্ন দেখে ফেলি। বেশিক্ষণ দেখতেপারি না আজকাল।ঘুম নেমে আসে।প্রদিপের তেল শুকিয়ে যায়। স্বপ্ন দেখতে দেখতে প্রায়ই ঘুমিয়ে পড়ি আমাদের আর হয়তো ভোর হবে না।সলতে পোড়া গন্ধে আমরা হৃদয় টাকে সেঁকে ফেলেছি পোড়া রসুনের কফিনে।

মুস্তারী বেগম

Leave a Reply