হইয়ো না বেহুঁশ
কলমে-সিদ্ধেশ্বর হাটুই
সুখাডালী/সারেঙ্গা/বাঁকুড়া/পশ্চিমবঙ্গ
ভেবে দেখো ছেলে –মেয়ে দুটোই সমান
কতবার শুনি যে কত লোকের মুখে।
ছেলে দেবে সেদিন মুখে আগুন,
যেদিন তোমার প্রাণ থাকবে না ঐ বুকে।
মেয়ে করবে জীবন দিয়ে সেবা ও যত্ন
রইবে যতদিন সে তোমার কাছে !
মানুষ সকলে কখনোই হয় না সমান
মনুষ্যত্বহীন মানুষ এ ধরায় বহু আছে।
ছেলে হলে আনন্দ, আর মেয়ে হলে কান্না !
হে প্রভু… তোমার দানে মানুষ হয় অসন্তুষ্ট,
জন্ম- মৃত্যু তোমার হাতে, তবু মানুষ চায়
নিজেদের ইচ্ছা পূরণে হতে পূর্ণ তৃপ্ত।
প্রয়োজন হলে আসছে যে জন পৃথিবীতে
অন্যায় ভাবে তাকে করবে ইচ্ছাকৃত হত্যা।
প্রভু তুমি বলো কী দোষ তার মাতৃগর্ভে এসে ?
কেন বলো হয়ে যায় খুন ? নয় এ কথা মিথ্যা।
যে পিতা-মাতার কোলে মেয়ে আছে
সেই পিতা-মাতা জানে মেয়ের ভালোবাসা,
ছেলে ভালো মানুষ না হলে কখনো
শেষের দিনে করো না একটুও জলের আশা।
যে দিন পিতা- মাতা মেয়ের দেন বিয়ে
মেয়ে ছেড়ে চলে যায়, পরকে করে আপন,
সেদিন পিতা-মাতার বুক ফেটে যায়
ব্যথা যন্ত্রনায় ছটফট করে, কাঁদে তাদের মন।
পিতা –মাতার কখনো অসুখ হলে
মেয়েরা করে সেবা, মা হয়ে আসে চলে।
যে দিন মা-বাবা হয়ে যায় শয্যাশায়ী,
মা হয়ে মেয়ে করে যত্ন, খায়িয়ে দেয়, মল-মূত্র ফেলে।
পুত্র হোক বা কন্যাই হোক, যদি হয়….
মানুষের মতো মানুষ।
পিতা-মাতার জীবনে তবেই থাকবে বেঁচে সুখ,
হায় রে,….মানুষ হয়ে এই জীবনে হইয়ো না বেহুঁশ।
SIDDHESWAR HATUI