
কুমিল্লা,বাংলাদেশ।
প্রদীপ ভট্টাচার্য,
মেঘ যাচ্ছে ঐ
শব্দ লিখলাম মেঘে —“সকাল”।
মেঘ যাচ্ছে শব্দ যাচ্ছে
খুঁজে নিচ্ছে সে সাদা নীলে বুক অনন্তকাল
পাখির ডাকে মেঘের শব্দে
শব্দ বাজে পঞ্চম সুরে শারদ রূপের মায়াজাল
ছিন্ন করে সকল বাধা অনুরাধার আঁচল গোঠে।
প্রদীপ ভট্টাচার্য,
ঐ নদীর ধারে
জানি নীল স্বপ্ন তোমার—
যেতে চাও নদীর ধারে
আটকে রাখে পথ ঐ হেলানো গাছে অন্ধকার
হোঁচট খাও এখানে যতবারে
দাঁড়াও দ্বিগুন বলে বেঁধে বুক বিশ্বাস তোমার
সচেতন তুমি এগিয়ে যাও স্বপ্ন ডাকে আয়রে।
প্রদীপ ভট্টাচার্য,
স্বর্গোক্তি
এখনো বেঁচে আছি তোমাদের ভরসায়
আমায় একটু আলো দিতে পারো, একটুখানি ছায়া,
দিতে পারো ঐ আঁধার পাড়ি দিতে।
খুউব মিথ্যের সাথে বেসাতি করতে করতে
কেমন যেন হীনমন্য হয়ে গেছি আমি—-
আমি হারিয়ে ফেলেছি যেন ভরসার জায়গাটা।
কোথায় পাবো তারে কীভাবে অজানা
শুধু ঘুরছি অলিগলি রাজপথ ঋষির আখড়ায়
অবশেষে কোন ম্যজেসিয়ানের দুয়ারে কোথাও।
খুঁজে পাইনি কোথাও একটা ছাউনি শুধু শূণ্যতা—
বিরামহীন এই শব্দের চরে ধুলি উড়ে দিনের বেলা
রোদের তীব্রতায় রোদ ঝলসায় চিক্ চিক্ করে
একটা ঘাতক তরবারি হাঁটে পেছনে পেছনে ঘাতক।
রাতে থাকে নিশ্চুপ ছায়াহীন হাঁটে ধূসর মরুপথ।
আমি এখন পথের বাঁকে পথহীন দাঁড়িয়ে আছি
খরকূটোর মত বৈশাখী বাতাসের মত ভয়ংকর
পাড়া ধংস করে, সমাজ, দেশ,একে একে সারা বিশ্ব।
দিনের আলো নিভে গেলে আঁধার জেকে বসে অনেকক্ষণ।
দূরের মাঠের ঐ কিনারে আলো দেখে ছুটে যাই
কী ভোলা মন বোকা আমি! দিগন্তের সব আঁধার ঠেলে খুঁজি কোথায় আলো বিশ্বাসের ভরসা—-
আলেয়ার আলোতে সবাই একা কেবল একা
বৈঠা ধরি অদৃশ্যে— ।
কে যেন অকস্মাৎ স্বর্গোক্তি করে— নেই ভরসা
পৃথিবীর কোন ছাউনি নেই আছে মহাশূণ্য—
নদীর স্রোতে ভাসতে ভাসতে মহাশূণ্য থেকে মহাকালে।
প্রদীপ ভট্টাচার্য,
কে ওখানে ঐ আঁধারে
অন্ধকার হলেই দ্যাখে বিজলীভরা চোখ
অরণ্য-বুক,সবুজের প্রহর,থর থর উঁচু বনানী
দ্যায় হাতছানি ডাকে জোছনার উঠোন।
ঐযে ঐ সীমানাটা ভাঙ্গলেই স্পষ্ট দেখবে
উষ্ণ বুকে রোদের ঝিকিমিকি অন্তহীন প্রান্তর
শুয়ে আছে নীল গালিচায় সূর্যকে জড়িয়ে।
কে? কারা ওখানে??ঐ আঁধারে মশাল হাতে নিশ্চিত
ভেঙ্গে ফেলে আর্টি-সার্কেলের শীতকালীন সীমার অতি
অদ্ভুত আঁধার যেখানেই যায় আলো হাটে পিছে পিছে।
অথচ তোমরা এখানে নিশ্চুপ!প্রেমের কথা বলো গড়ে তোল
প্রেমের তাজমহল,ইতিহাসের অন্ধচোখ খোল এক নিঃশ্বাসে
কর সৃষ্টির গুনগান, নারীর দেহ,নদীর অববাহিকা ঘীরে।
সামনে ধূসর বালুচর,বাতাসে সাইক্লোনের লাল চোখ দেখে
মশাল হাতে ঘৃণার তরবারি বিঁধে উদ্যত নিরবে ঘাতকের বুকে
বারবার ফিরে তাকায় আফসোসে গুহার ভেতর থেকে খোলে খোলস,আধুনিকতা ঝলসায় ক্রিতদাসী সমাজ সভ্যতায়।
তোমাদের মূহু মূহু হাততালীর উচ্ছাসে জেগে উঠবে কিছুদিন
কালো বিড়াল যাবে আত্নগোপনে,ঘরে বাজবে গোপন সুর
অন্তরীণ পুষে রাখা স্বপ্নের লকলকে আদীম সানাই।
অতঃপর শাণিত চোখ দেখে সময়ের দূর্বীন ক্যানভাস আঁকবে “মাশা আমিনী”——
শত শত নিহত ইরানী ধূপকাঠির ধোঁয়ায় দ্রোহী আগুন প্রজ্বলীত এখন সভ্যতার বুকে—-
লিখে রাখে আবারো কালো ইতিহাস ঘৃণার কফিন।
একটা মিছিল এখন গ্রাম থেকে শহরে দেশ থেকে দেশে
দ্রোহের নামতা পড়ে এগিয়ে যায় আগামীর সাবমেরিন হয়ে
গভীরে তাকে যেতেই হবে তাই প্রথমে শুয়ে থাকে কবরে।
মৃত্যুর স্বাদ নিয়ে নারী দিবস বহুরূপী তকমায় খোলস বদলায় মৌসুমী আগুনে——।
হাততালী–হাততালী—বলে চিৎকার করে কতিপয় সাজানো মঞ্চ।