
সাহিত্যে
‘”উত্তর আধুনিকতা” র চর্চা
প্রসঙ্গে আমার কিছু ভাবনা
প্রদীপ ভট্টাচার্য
সাহিত্যে কোন লেখক যখন চোখ খোলেন তখন তিনি বস্তুগত অর্থে তাঁর দৃষ্টি সীমানার আয়ত্বে যতটুকু আসে ততটুকুই তিনি আলোকিত করেন।
ভাবগত অর্থে সাহিত্যের পরিধি এবং তার দর্শন অপরিসীম।
লেখকের চিন্তায় মননে যতটুকু আসবে ততটুকুই তিনি উজ্বল করবেন নিঃসন্দেহে।বিজ্ঞান যেমন কর্ষনের মাধ্যমে আদি থেকে অন্তহীন তেমনি উত্তর আধুনিকতা বা পোষ্ট-মর্ডানিজমও উল্লেখিত দুটি শব্দের মধ্যে ডুবে আছে।
লেখকের চেতনায় বিষয়বস্তু সময়ের রথে চড়ে কালের দোলাচলে দুলে এগুবে আগামীর ফল্গুধারায়।
অতএব ভৌগলিক এবং সামাজিক অবস্হান যে যেখানে দাঁড়িয়ে যে স্তর থেকে লেখক কোন বিষয়ে ভবিষ্যতের দিকে চোখ দেবেন তার ক্রমান্বয় স্তর ই
হচ্ছে মর্ডানিজম এবং পোষ্ট-মর্ডানিজম। ভাবের কোন বিষয়ই এককভাবে কোন সীমা-রেখায় আবদ্ধ করা যায়না।
মানুষ যেহেতু অনুভূতিপ্রবণ তাই এর ব্যখ্যাও এক এক জনের ভিন্ন রকম। অতএব ভৌগলিক ভাবেই প্রতিযোগীতামূলক শব্দ শ্রেষ্ঠত্বে তার দর্শনে নির্ভর করে।কারণ শ্রেষ্ঠত্ব বিচার করার কোন নির্দিষ্ট কাঠামো নেই।উদাহরণ স্বরূপ "ভালবাসা" বা ভালবাসার সজ্ঞা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির অন্তঃকরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। এখন যদি প্রশ্ন আসে কার "ভালবাসা" নিখুত,বা ভালবাসার সংজ্ঞা কী। নিশ্চই উত্তর আসবে ভিন্ন। তাহলে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারের কথাটি থাকবে প্রশ্নাধীন! মূলত একটা প্রচ্ছন্ন মাধ্যমে তা নির্ধারণ করে।