১৮-১০-২০২২
কুমিল্লা, বাংলাদেশ।
প্রদীপ ভট্টাচার্য,
কবিতা-#কথকতা_#(১)

অবশেষে প্রতিদিন ভোরে সকালের সুরে
খুঁজি দু’চোখের বাইরে বুকের নীলিমায়
তার দেহের রহস্যে খুঁজি অর্থ বারেবারে
দেখি সাগরের নিরব কোলাহলে জল-ছায়ায়।
কেবলি বাজে ফসলিমাঠে বসন্ত গান
হলুদ বিকেলের শান্ত রোদে উত্তরী হাওয়ায়
ধানের ডগায় বেড়ে ওঠে কৃষানির স্বপ্ন-ভূম
তিল তিল করে প্রতি হেমন্তের আসাযাওয়ায়।
একদিন স্বপ্ন-ঘুম চোখ লেখে কবিতায়
বিগত রেশে আজকে আগামীর কথকতায়।
কথকতা-(২)
এমনইতো কথা ছিলো তোমার পরে
যে আসবে সেই লিখবে পরবর্তী দৃশ্য
কোন রহস্য তাকে ঘীরে করেছে অদৃশ্য
হীম প্রবাহে ঝড়ের রাতে শীতের ঘরে।
অবশেষে কে এক আগন্তুক ভারি পোষাকে
তখন দূর করে যতসব একে একে হীম প্রবাহ
বসন্তগানে পাখির মত ডাকে প্রাণে প্রাণ মিলায়ে
রাখে রোদ্দুর ছায়ারেখা দিগন্তজুড়ে বাঁচার স্বপ্নসহ।
অসীমের ঘরে শব্দের কানাকানি সসীম মৌনতায়
তখোন পালিয়ে বেড়ায় প্রতিদিন কোন প্রচ্ছন্ন গাঁয়।
কথকতা-(৩)
তুমি বললেনা বলেই লেখা হলোনা কিছু
তুমি হাঁটলেনা বলে হাঁটা হলোনা পিছু
লেখা হলোনা আজিকার ব্যর্থতার চিত্র
মেঘে মেঘে ঢেকে যাওয়া সব নাদেখা দৃশ্য।
অতঃপর সময়ের কৌতুহলে একদিন বিকেলে|
দেখলে তোমার অবয়ব যখন মনের ছায়াতলে
ক্যামোন তুমি শীতের বৈরীতায় কুঁচকে গ্যাছো
কখন হারিয়ে ফেলেছি কথার সকল সরল গ্রহ।
একদা দেখি চমকে!একি সেই তুমি সেই আমি
বড্ড অচেনা তুমি সেই মিলন গোধূলি—-
চাঁদের ইশারায় ভাঙ্গে নড়বড়ে সাগরের বেলাভূমি।