Ratan Ali

দানে ধরে
কবিতাকার

অন্তরে প্রান্তরে রঙে রাঙায় শুধু আমারে
পেটের ভেতরে বিনাশী,বন্ধুবড়শি রসায়ন;
বণিক বাতাসে দাঁত ধোয়ে দানে ধরে সবারে;
মানবিক সুরে বিষের বাঁশি মুখে বিশ্বায়ন।
আলকাতরা আঁধারে ভয় শাস্ত্রসখা, সংসারে
আইনের ঊনপঞ্চাশ বায়ু নিয়ে ঘুরে প্রত্যয়ন,
প্রিয়তমা অক্সিজেন কোথায় পাবো তোমারে?

কলম কৃপণ
কবিতাকার

বয়সের বিভেদ-বেড়া বেয়ে আকাশ যাচ্ছে দূরে,
আঁধারের জুতো পায়ে চাঁদ পা বাড়াচ্ছে
জামানার পুঞ্জীভূত জমকালো পতিতালয়ে।
পোশাক পাপের ঝুট, সেকি তোমার হাসি —
নাকি আমার সুখ? যার জন্য রাজপথ হৃৎপিণ্ডের শরীর,
চাঁদের অর্থ-জ্যোৎস্না বেয়ে পড়ে মনে,আইনের উঠানে।
কলম কৃপণ হলেও শুষে নেয় সব নিমেষে।

ঈপ্সিত অক্ষরে
কবিতাকার

দাঁতের সঙ্গে ভিটামিনের নেই বিশেষ বন্ধুত্ব
বাছবিচারের ঊর্ধ্বে নেই আকাশের কোনো উঠান।
ছাগীর সঙ্গ ছেড়ে গাভীর পিছনে
গোঁ ধরে থাকা গর্বিত জীবন
পয়দাপাপে ব্যস্ত বাঁশি হাতে।
ঝড়ে আক্রান্ত চড়ুই পরের ঘরে
নিয়মিত উষ্ণতা আঁকে ডিমে,
মায়াকাঁটার মতো উপড়ানো অতীত
পিষ্ট হয় ক্লিষ্ট কালের পায়ে পায়ে;
মাঝে মাঝে শিরার সুঁই সেলাই করে
হৃৎপিণ্ডের পুরানো পটভূমি,
ছেঁড়া স্মৃতিতে জুড়ে দেয়
জোড়াতালির উত্তপ্ত থেরাপি ;
চোখ নাক ফুসফুস বিভোর
অতীতাধিকার নিয়ে সরাসরি মাথার মাঠে,
তারপর কী আদেশে সব শান্ত–
জানি নে,কী মন্ত্র আছে কার কাছে?
সূর্যের গাড়িতে পারিবারিক পিচঢালা পথে
পরপারের যাত্রী সবাই একই পুলসিরাতে
অথচ একদিন কলাপাতার শিরায়
গড়িয়ে পড়তো বৃষ্টিবন্ধুর আমার মন
তোমার ঈপ্সিত অক্ষরে,আমার একমাত্র ঠিকানায়।

Leave a Reply