
ছড়া : আমার দাদু
সত্যেন মণ্ডল
বুড়ো বয়সে দাদু আমার খেলবে ফুটবল।
হেসে আমায় বলেন চাই কোমরের বল। ।
আমার সঙ্গে খেলতে গেলে ভাঙবি তুই ঠ্যাং।
পড়ে গেলে হয়ে যাবি একটা কোলাব্যাঙ ।।
আমি বলি,ধ্যের হয়েছে গুল দিওনা আর ।
এসোতো দেখি মাঠে নেমে কেমন খেলোয়াড় ।।
এক প্যাঁচেতেই দাদু তখন হয়ে গেলেন কাত্ ।
ফোগলা দাঁতে হেসে বলেন সত্যিরে তোর বাত্।।
কাঠবিড়ালি
( চিত্র: কোকাকোলার বোতল থেকে স্ট্র দিয়ে কাঠবিড়ালী
কোকাকোলা খাচ্ছে এই দৃশ্য দেখে ।)
সত্যেন মণ্ডল
স্ট্র দিয়ে কাঠবিড়ালি খাচ্ছে কোকাকোলা !
এমন দৃশ্য বাপের জন্মে যায় কি কভু ভোলা !
এখন কালে কালে কত কিছু দেখছি অহরহ
বউ বলল, দেখবে আরো —-একটু খানি সহ
দুদিন বাদে কাঠবিড়ালি, পিজা বার্গার খাবে
আনন্দেতে লেজ নেড়ে–তা ধিন্ ধি-না গাবে !
ভাবলু আর গাবলু
সত্যেন মণ্ডল
ভাবলু আর গাবলু বিখ্যাত দুই ময়রা
দু-জনারই মোটা সোটা সুন্দর চেহারা
বেশি বেশি দিলে খাবার খায় ওরা বেশ
দিনে দিনে এভাবে পেকে গেল কেশ
কুঁড়েমিতে ওস্তাদ নেই ওদের জুড়ি
আরামে খেয়ে খেয়ে বেড়ে গেল ভুঁড়ি ।
ছড়া : কুঁজো বুড়ি
সত্যেন মণ্ডল
থুত্থুড়ে কুঁজো বুড়ি লাঠি ঠুকে ঠুকে চলে
ছেলে ছোকরাদের দেখে হেসে হেসে বলে—
এককালে ছিনু আমি পরমা–সুন্দরী
বোলতো তখন সবাই ডানাকাটা পরী
(শুনে)ছেলেদের কেউ -কেউ দেঁতো হেসে কয়
(দিদাগো)এখন দেখলে তোমায় লাগে বড় ভয় ।।
ছড়া : দুখের কথা
কলমে : সত্যেন মন্ডল
ওলো সই ওলো সই একটু খানি দাঁড়া ওরে ওই
সুখের দুঃখের মনের কথা দুটো তোরে কই
ছোট থেকে স্বপন দেখতাম সংসার করবো সুখে
জীবন আমার কাটছে এখন ভীষণ ভীষণ দুখে
সকাল সন্ধ্যা স্বামী আমার দিচ্ছে শুধু খোঁটা
খেয়ে খেয়ে এখন নাকি —আমি হয়ে যাচ্ছি মোটা
দুঃখের কথা এটাই আমার কেউ শোনেনা হায়
ছেলে মেয়ে জামাই শুধু দেখলে আমায় পালায় ।