গদ্য কবিতা: আয়না
সত্যেন মন্ডল
এখন আর বিশেষ কেউ আমার সঙ্গে
কথা বলতে চায় না ।
দূর থেকে আমাকে দেখলেই ,সবাই এখন
এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে।
এরা ছিল আমার বড় কাছের
রাতারাতি হয়ে গেছে বড় দূরের
এরা কেউ রাজনৈতিক নেতা
কেউ ডাক্তার আবার কেউ শিক্ষক
কেউ মন্ত্রী ,সান্ত্রী,কেউ বড় সরকারী চাকুরে
কেউ স-গর্বে বলে
সবার উপকার করে সে
কেউ গায়ে গতরে খেটে খায়
কেউ গায়ে হাওয়া লাগিয়ে খায়
এরা সবাই সমাজসেবী।
বাল্যের স্কুল পুস্তকে আরো কত
সমাজের বন্ধুর কথা পড়েছি
মনে নেই সবার কথা
সবাই আজ
রাতারাতি হয়ে গেছে বড় দূরের
কেউ দু -দন্ড কথা বলতে চায়না !
এদের কাছে একটাই প্রশ্ন ছিল আমার,
“ফাঁকি” শব্দের অর্থ কী ?
তুমি কী এ জীবনে কখনও ফাঁকি দিয়েছো ?
তোমার কর্তব্যে বা দায়িত্বে কাউকে ফাঁকি দিয়েছো ?
রে রে করে মারতে আসে !
বলে একটা উন্মাদ ,
আমি ওদের কাউকেই বলিনি
তুমি আয়নার সামনে দাঁড়াও।
নিজের একবার তো প্রতিবিম্ব দেখো !
আসলে আমরা প্রতিনিয়ত
নিজেরাই নিজেদের ফাঁকি
দিয়ে চলেছি
কখনও সজ্ঞানে
কখনও অজ্ঞানে।