
কবিতা যেওনা দূরে
সিদ্ধেশ্বর হাটুই
তুমি কি আর ভাবতে পারো
সেই দিনটির কথা ?
তুমি ছিলে আমার কাছে-পাশে
ঘুরেছি কত হেথা-সেথা।
দুজনে মিলে গেয়েছিলাম সেই
জীবনের জয় গান।
যেখানে নদী মিলেছিল সমুদ্রে
ভরেছিল অসহায় দুটি প্রাণ।
আজ অনেক দিন তো হয়ে গেলো
পাইনা আর তোমার দেখা।
ব্যর্থ অভিসারে এ মন যায় পুড়ে
লাগে যে ভীষণ একা….একা।
কোথায় গেলে তুমি , বল কত…কত দূরে…
আরতো বাজেনা বাঁশি সেই চেনা সুরে।
এমন ছিলোনাতো কথা, তবে দিলে কেন ব্যথা ?
না বলে চলে গেলে সরে কত দূরে।
মনে কি পড়ে তোমার, বলেছিলে তুমি…
যাবেনা কভু আমায় ছেড়ে।
সেই তো গেলে তুমি কোথায় চলে….
ভালোবাসাকে আজ দুপায়ে মেড়ে।
তোমার দেওয়া গোলাপটা… জানো আজও…আজও…
রেখেছি বুকে ধরে…. বহু যত্নে।
স্মৃতির পাতায় রেখেছি কবিতা তোমায়
আজও দেখি যে তোমায় স্বপ্নে।
কবিতা তুমি কেন দাও…কেন.. এত ব্যথা ?
তবু দেখো ভুলতে পারিনা তোমার কথা।
ভেবেছিলাম যাবো ভুলে তোমায় আমি……
না , পারিনি ভুলতে, খেয়েছো আমার মাথা ।
কবিতা তুমি এসোনা ….এসো চলে ………
ছুট্টে আমার কাছে,
তোমার জন্য এই মনের দরজা …
আজও খোলা আছে।
সলতের শেষ
সিদ্ধেশ্বর হাটুই
সংযোজন আর বিয়োজন
নিত্য ঘটেচলা সময়ের বিচার
কেউ হাসে, কেউ বা কাঁদে
ভাঙা গড়ার খেলায় জীবন একাকার।
নতুনের আগমনে খুশির বাতাস
বয়ে যায় জীবনের কোণে কোণে
কত আশা সবুজের মাঝে
উঁকি মারে, বাড়ে সংগোপনে।
স্বজন যখন আশাহীন প্রদীপের
শিখার মতো মৃদু আলোয় জ্বলে,
সলতেটা যখন তেলের অভাবে
পুড়ে হয় ছাই, কাজ হয়না জলে।
চোখের সামনে যখন একটু একটু করে
প্রদীপের সলতে পড়ার গন্ধ নাকে আসে
যন্ত্রনায় ছটপট করে মন, কাঁদে আপনজন
করার নেই কনো উপায়, চোখের জলে বুক ভাসে।