পেটের জ্বালা বড়ো জ্বালা
সোমা হাজরা
কথায় আছে পেটের জ্বালা বড়ো জ্বালা… কিন্তু এই কথাটা কথার কথা না শুধু, অতি বাস্তব একটি কথা। আমরা যা কিছু কাজ করি না কেন দুবেলা খাওয়ার জন্য করি একথা বলাই যায়….কিন্তু এই কথাটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যেমন সমাজের বড়লোক, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে প্রযোজ্য… যারা বড়লোক তারা আরো বড়লোক হতে চায়, আর যারা মধ্যবিত্ত তারা একটু ভালোভাবে থাকতে চায়, আর যারা নিম্নবিত্ত গরিব তারা শুধু মাত্র একটু পেট ভরে খেতে চায়।আমরা কি কোনোদিনও সেই সব হতদরিদ্র মানুষের কথা ভাবি? যারা রাস্তার ধারে ফুটপাথে তাদের সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয়……….
তাহলে এক ছোট্ট কাহিনি বলি….
ভাস্কর, তার স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে রাস্তার ধারে একটা ছোট্ট প্লাস্টিক খাটিয়ে থাকে। ভাস্কর একটা ছোট্ট চা এর দোকানে কাজ করে। তাতেই তাদের কোনোরকম ভাবে জীবন চলে যায়। এই ভাবে কোনোরকম ভাবে জীবন চলে যাচ্ছিল তাদের…. কিন্ত সময় তো সবসময় সবার ভালো যায় না। একদিন বিনা অপরাধে তার মালিক তাকে বের করে দেয় কাজ থেকে, তার পেটে লাথি মারে….. এরপর থেকে ভাস্করের জীবন অতি কষ্টে কাটতে থাকে। খাওয়া হয় না তার ও তার পরিবারের। বাধ্য হয়ে তার দুই ছেলেকে পাঠাতে হয় ভিক্ষা করতে। আর সে যায় বাজার থেকে সবজি কুড়িয়ে আনতে… এই ভাবে দিন চলতে থাকে…. অনেক চেষ্টা করে একটা ছোট্ট কাজ পায়… তবুও কিছুটা কষ্ট করে হলেও পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। এই ভাবে সময় যেতে থাকে…. রাস্তার ধারে প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টিতে তাদের শেষ সম্বল টুকু হারায়…. বৃষ্টির জলে ভিজে ভাস্করের স্ত্রীর শরীর খুব খারাপ করে…. ভাস্কর তার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে সেই দোকানে কাজে যেতে পারে না। তাই মালিক খুব চোটে যায় তার উপরে… স্ত্রীর ওষুধের জন্য মালিকের কাছে যায় টাকা নেওয়ার জন্য। কিন্তু ওর মালিক ওর অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা না করে তাকে তাড়িয়ে দেয় অপমান করে। ভাস্করের তার মালিকের ওপর এক অদ্ভুত বিতৃষ্ণা আসে, মালিকের ওপর শুধু নয় সমস্ত মালিক শ্রেণীর ওপরে এক অদ্ভুত রাগ জন্মায়। ভাস্করের চোখ থেকে জল নয় যেনো আগুন বেরোতে থাকে…. আর এই রাগের বশে ঘটিয়ে ফেলে এক ঘটনা……….
চলবে……