আমরা কবে মানুষ হব?
সৌদামিনী শম্পা
আমার শরীর, আমার পছন্দ
আমার মন, আমার পছন্দ,
আমার জীবন আমার পছন্দ।
পুরুষেরা যে পুরুষ সাজতে বাধ্য। তাদের বেঁধে দেওয়া খাঁচার বাইরে বেরোতে পারে না। ভাবে এতে তাদের পৌরুষ রক্ষা পায়! ভুল। তারা আসলে তাদের মতন বাঁচতে পারে না। এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজ নারীপুরুষ সবাইকেই গন্ডীবদ্ধ করে, খোলা আকাশটা কেড়ে নিয়েছে।
কোনো পুরুষের লম্বা চুল রাখতে ইচ্ছে হতেই পারে। তাকে শুনতে হয়,”মেয়েদের মত চুল রেখেছিস কেন?” মেয়েদের মত হওয়া বুঝি খারাপ? কোনো পুরুষ কাঁদলে তার মাই শেখায়, “মেয়েদের মত কাঁদছিস কেন?” কেন, পুরুষ বলে তাদের মন থাকতে নেই? যে মেয়েটাকে সামান্য হিজাবের কারণে মারা হলো, পরে আরো একত্রিশ জন।
তাদের ভাই, বাবা,দাদারা বুঝি খুব খুশি? কক্ষণো না। তারা মানুষ হলে প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় কেউ খুশি হয় না। কিন্তু তারাও অসহায়! আমরা ভাবি এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ শুধু মেয়েদের পেষণ করে। ভুল, এই জাঁতাকলে পিষছে পুরুষ ও প্রতিনিয়ত।
মেয়েরা তো তাও তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারকে অত্যাচার বলতে পারে, কিন্তু কোনো পুরুষ পারে না।কোনো পুরুষ যদি গৃহস্থালীর কাজ বেছে নেয়, আর তার সঙ্গীনি রোজগার, তাতে তাদের সমস্যা না থাকলেও নীতিপুলিশরা সক্রিয় হয়ে মনে করিয়ে দেয় পুরুষটিকে, সে কত কষ্টে আছে আর মেয়েটি তার প্রতি কত অন্যায় করছে।
পোশাক, আশাক, চলন, বলনই যেন মানুষের লিঙ্গের একমাত্র পরিচয়! আমরা কবে মানুষ হব? অথবা আদৌ হব কি?