
স্বপ্ন দেখে মন ।।
সুজিত চট্টোপাধ্যায় ।।
” অনেকদিন দেখিনা জানিস! “
বিনয়ের শেষ বন্ধু প্রাণতোষ একটু থেমে জিজ্ঞেস করলো,,
” তোর মেয়ের কথা বলছিস? “
মেয়ে মঞ্জুলীকা বিবাহ সূত্রে কানপুর বাসী। ও-ই একমাত্র সন্তান।
” নাঃ,, ওরা ভালো আছে সেটাই তো আসল। দ্বায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে পেরেছি এবং সেটা সফল ভাবে আরকি চাই। তারা সুখী হলেই আমরাও খুশী। “
প্রাণতোষ খানিক অবাক হয়ে বললো,,,
” তাহলে কি দেখা হয়না বলছিস?
” আসলে কী জানিস,, জীবনের সমস্ত ব্যস্ততা শেষ হয়ে গিয়ে একটা নিস্তরঙ্গ একাকীত্বের কর্মহীন জীবন শুধুমাত্র প্রদীপের তেল ফুরিয়ে যাবার অলস প্রতিক্ষায় শ্বাস নেয় , তখন সে কী দেখতে চায় জানিস ? স্বপ্ন ।
হ্যাঁ রে ভাই স্বপ্ন । অথচ বিশ্বাস কর আজ সব আছে সবাই আছে শুধু স্বপ্ন নেই।
স্বপ্ন গুলোকে সাকার করতে করতেই তো জীবনের পথ চলা।
এখন স্বপ্ন দেখাও নেই তাই কর্মচঞ্চল জীবনের মাধুর্যও নেই।
বড় একা লাগে। স্বপ্নহীন জীবনের একাকীত্ব।
তাই আবারও দেখতে ইচ্ছে করে প্রাণবন্ত জীবনের পথচলার স্বপ্ন
খুব দেখতে ইচ্ছে করে। “
সুজিত চট্টোপাধ্যায় ।।
খুবই আনন্দ পেলাম আমার লেখা প্রকাশিত করবার জন্য।
এই পরিবারের সাফল্য কামনা করছি।
সব্বাইকে জানাই ভালবাসা শুভকামনা।
বড় বাস্তব মানসিক অবস্থার বর্ণনা। ভীষণ সুন্দর প্রকাশ।
দারুণ! অসাধারণ! স্বপ্ন দেখে যাও তবে অবশ্যই তা খোলা চোখে, বন্ধ চোখে দেখা স্বপ্ন মূল্যহীন।স্বপ্নহীন বেরঙিন জীবন কখনওই কাম্য হওয়া উচিত নয়।